প্রকল্পের নাম: স্বাস্থ্য সাথী
উন্নতমানের আধুনিক স্বাস্থ্য পরিষেবা প্রত্যেক প্রান্তিক মানুষের দরজায় পৌছে দেওয়া। এবং সেটি স্বচ্ছতা ও আধুনিকতার পাশাপাশি অত্যাধুনিক ই-প্রযুক্তি ব্যবহার করে রাজ্যের কয়েক লাখ আইসিডিএস কর্মী, আশা কর্মী, সিভিক ভলান্টিয়ার, স্বনির্ভর গােষ্ঠী, হােমগার্ড, গ্রিন পুলিশ, বিপর্যয় মােকাবিলা কর্মী, ত্রিস্তর পঞ্চায়েতের সকল সদস্য, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের আংশিক শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী, অর্থ দপ্তরের অনুমতিক্রমে চুক্তিভিত্তিক কর্মীদের মুখে আজ হাসির ঝিলিক।
অন্যান্য স্মার্ট কার্ডের মতাে এই কার্ড নিয়ে সমস্ত সরকারি হাসপাতাল-সহ। ৭০০-র বেশি বেসরকারি হাসপাতালে যেতে হবে। ১.৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ওই কার্ডধারীর পরিবারের যে কেউ, বছরে চিকিৎসা ক্যাশলেস হিসেবে। বিশেষ জটিল রােগের চিকিৎসার ক্ষেত্রে ৩.৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বিমার আওতায় থেকে চিকিৎসা করা যাবে।
এই স্বাস্থ্য বিমার আওতায় ১৯০০-র বেশি ধরনের রােগের চিকিৎসার সুবিধা দিচ্ছে সরকার। হাসপাতালে থাকাকালীন সমস্ত চিকিৎসা, পরীক্ষা ও নিরীক্ষা, ওষুধ, খাবার দেওয়া হচ্ছে বিনামূল্যে। এছাড়া যাতায়াত ভাড়া বাবদ ২০০ টাকা এবং ভর্তির একদিন আগে ও ছাড়া পাওয়ার পরের ৫ দিনের ওষুধও বিনামূল্যে পাওয়া যাচ্ছে।
সবচেয়ে উল্লেখযােগ্য, স্বাস্থ্য সাথী নিয়ে চালু হয়ে গিয়েছে মােবাইল অ্যাপস। রয়েছে ফেসবুক, টুইটার এবং টোল ফ্রি নম্বরে (১৮০০-৩৪৫-৫৩৮৪) সমস্ত তথ্য জানা এবং অভিযোগ জানানাের সুবিধা। এছাড়াও ওয়েব পেজ : swasthyasathi.gov.in-এ সমস্ত তথ্য জানা যাবে। একদম প্রান্তিক এলাকাতেও কোন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত, চিকিৎসকের নাম, কাছাকাছি কোথায় কোন ধরনের সুপার স্পেশালিটি রয়েছে, কোন হাসপাতালে অ্যাম্বুলে—আইসিইউ রয়েছে ইত্যাদি নানা খুঁটিনাটি তথা হাতের মুঠোয় পৌছে দিতেই এই উদ্যোগ।
ইতিমধ্যে ৪৮ লক্ষেরও বেশি মানুষকে এই প্রকল্পের আওতায় পরিষেবা নেওয়া সম্ভব হয়েছে। ৩১-০৭-১৮ পর্যন্ত ২.৮৬ লক্ষ নবাগী ২৭৮ কোটি টাকার ক্যাশলেস পরিষেবা গ্রহণ করেছেন।
* কারা আবেদন করবেন : সিভিক ভলান্টিয়া, গ্রীন ভলান্টিয়ার্স, বিপর্যয় মােকাবিলা কর্মী, জাতীয় স্বেচ্ছাসেৱী বা (এনভিএ). হােমগার্ড, আইসিডিএস কর্মী ও সহকারী, পঞ্চায়েত ও গ্রামােন্নয়ন দপ্তরের স্বনির্ভর গোষ্ঠী, পঞ্চায়েতিরাজ ইনস্টিটিউটের চুক্তিভিত্তিক ও ঠিকা-শ্রমিক, পুর এলাকার স্বনির্ভর গােষ্ঠী, আশা কর্মী, অনারারি হেলথ ওয়াকার্স, অর্থ দপ্তরের অধীনে রাজ্য সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে চুক্তিভিত্তিক ও ঠিকা শ্রমিকেরা আবেদন করবেন। স্বামী / স্ত্রী , তাঁদের ওপর নির্ভরশীল পিতামাতা ও শ্বশুর-শাশুড়ি এবং ১৮ বছর বয়স পর্যন্ত ছেলেমেয়ে প্রত্যেকে এই স্বাস্থ্য বিমার সুবিধা পাবেন। এছাড়াও ত্রিস্তর পঞ্চায়েতের সকল সদস্য ও তাদের পরিবার এবং কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের আংশিক শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদের এই প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে।
* দপ্তর : স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দপ্তর।
* যোগাযোগঃ প্রতি জেলায় ব্লক স্তরে বিডিও অফিস, শহর ও শহরতলির ক্ষেত্রে পুরসভা এবং অবশ্যই ২৪ ঘন্টা চালু থাকা টোল ফ্রি নম্বর ১৮০০৩৪৫৫৩৮৪।
(জেনে নিন, পশ্চিমবঙ্গের ৪১ টি জনকল্যাণমূলক সরকারি প্রকল্পের প্রাপ্ত সুযোগ সুবিধে কোথা থেকে কিভাবে পেতে পারেন )* অনলাইন লিংকস : স্বাস্থ্যসাথী ওয়েবসাইট - http://swasthyasathi.gov.in/
Comments
Post a Comment